• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Sougata Roy

রাজনীতি

রাজ্যে বিজেপিতে বিধায়ক ২৭জন!

এই মূহুর্তে বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা কত? সংখ্যাটা শুনলে হিসেব গুলিয়ে যেতে বাধ্য। অন্য দল থেকে যোগ দেওয়ার পর এরাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭-এ। যোগদানকারীদের মধ্যে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। তবে সব থেকে বেশি বিধায়ক এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। এছাড়া রাজ্যের তিনজন প্রাক্তন মন্ত্রী যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে।২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপি মাত্র ৩ আসনে জয় পেয়েছিল। খড়্গপুর থেকে জয় পান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার জন্য বিধায়ক পদ ছাড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তখন বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুইয়ে। তারপর ২০১৯ উপনির্বাচনে আরও ৪ আসনে জয়লাভ করে পদ্মশিবির। মোট বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৬-এ। উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এখন সেই দলে রয়েছে মোট ২৭ জন বিধায়ক। আর দুজন প্রাক্তন বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা প্রথমে মন্ত্রিত্ব ও পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।তৃণমূল থেকে ১৫জন বিধায়ক এসেছেন পদ্মশিবিরে। কংগ্রেস থেকে ৩জন। ২জন সিপিএম থেকে ও সিপিআইয়ের ১ জন। এর মধ্যে দিপালী বিশ্বাস সিপিএম থেকে ভায়া তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের দুলাল বর তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলে যোগদান করে এখন বিজেপির বিধায়ক ২৭ জন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায় কীনা সেটাই দেখার।কংগ্রেস এখনও বিধানসভায় বিরোধী দল। এই দলের অধিকাংশ বিধায়ক লিখিতভাবে কংগ্রেসে থাকলেও তৃণমূল ও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যে এখন কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কত? তা বলতে হিমসিম খাবে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলে একদিকে যেমন অন্য দল থেকে বিধায়ক এসে যোগ দিয়েছে, ঘাসফুল থেকেও একটা অংশ বিজেপিতে গিয়ে ভিড়ছেন।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অমিত মিত্রকও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। শেষমেশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারির বদলে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। জবাব দেবেন মমতার সভার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা ছিল মিছিল দাবি করেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। শুভেন্দু বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলছেন শুভেন্দুর মুখে পরিবারতন্ত্র বলা মানায় না। আরে মাননীয় মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী আমি আপনার জামাইকে বলিনি তৃণমূলের যুব নেতা। লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। আমি তাঁর কথা বলিনি। সৌগত রায়ের দাদা আমাদের বড় নেতা, প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমি তাঁর কথাও বলিনি। আমি বলেছি কয়লা চোর, বালি চোর, পাথর চোর, গরুপাচারকারী ভাইপোর কথা। আবার চাকরি দিতে পারেনি পাউচ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন অর্থমন্ত্রী, বলেছেন শুভেন্দু। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি শুভেন্দু। এদিন কাঁথির সভায় তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আপনি ৭জানুয়ারী, ১৪মার্চ, ১০ নভেম্বর কোনও দিন আসেননি। কাল টিভিতে দেখলাম আপনি আসছেন। আপনি এলে রাস্তা সারাবে। আমার জেলার লাভ হবে। আমি ৭ তারিখে প্রতিবছর আমি যাই। এবার ওই দিন বড় কর্মসূচি নেব না। ৭ তারিখ আসছেন, ভাল কথা মোস্ট ওয়েলকাম। এতদিন আসেননি। আসুন। আমি যা যা বলতে আসছেন আমি জানি। ১০০০টা শুভেন্দু তৈরি হয়। কে ওটা, কী হবে। শুভেন্দুকে কাউন্টার করতে হাটবারে হাটবারে চারটা-পাঁচটা পুলিশের পাইলট কার নিয়ে জোড়া জোড়া মন্ত্রী। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ৭ তারিখে আসুন, ভাষন দিন। আমি ৮ তারিখে সভা করা আপনার সব কথার জবাব দিয়ে দেব। আমি শৃঙ্খলাপরায়ন লোক। আমি আজই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছি নন্দীগ্রামে ৮ তারিখ সভা হবে। উনি সরকারি ক্ষমতায় লোক আনবেন, আমি আবেগ-ভলবাসায় লোক আনব। শুভেন্দু এদিন একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে ঢিল মারতে গিয়েছে। আমফানের পর কলকাতার লোক বুঝে গিয়েছিল কী তাঁর যোগ্য়তা। গ্রামের সঙ্গে লড়াই দক্ষিণ কলকাতার চার-পাঁচটা লোকের। ৪০ টা দফতর ওই চার-পাঁচটা লোকের। শুভেন্দুর ঘোষণা, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাদের হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

বিশ্বাসঘাতক-মীরজাফরেই শুভেন্দুকে তোপ সৌগত- ফিরহাদের

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় কাঁথিতে মিছিল ও জনসভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। অধিকারীগড়ে সমাবেশ করে তৃণমূল বার্তা দিল আপাতত অখিল গিরিদের হাতেই থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে দলের ক্ষমতা। এই জনসভায় ছিলেন না তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী ও অপর সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক ও মিরজাফর তকমাতে অনড় থাকলেন। বক্তারা টানা নিশানা করে গেলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে। পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই পূর্বস্থলীতে বিজেপির হয়ে জনসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। শুভেন্দু মেদেনীপুরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন থেকে ভাইপো হটাওয়ের ডাক দিচ্ছেন। এদিকে এদিনের সভায় মূল দুই বক্তা সাংসদ সৌগত রায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্যের প্রতি লাইনেই তুলোধোনা করেন দলের প্রাক্তন সেনানীকে। আগাগোড়া তোপ দাগলেন। শুভেন্দুকে ছাড়াই পূর্ব মেদিনীপুরে বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ আসনেই জয়ী হবে তৃণমূল সেকথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ। এদিনের সভায়ও ফিরহাদ হাকিম বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করেন শুভেন্দুকে। সৌগত রায় মীরজাফর বলে অভিহিত করেন। ফিরহাদ বলেন, শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতক, এর জন্য আ্মরা ক্ষমা চাইছি। মমতাকে নয়, শুভেন্দু সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন শুভেন্দু, কিন্তু ২০০৯-তে কীভাবে মনোনয়ন পেলেন তিনি। শিশির অধিকারীর ঘরে জন্ম না নিলে কোনও দিন শুভেন্দু অধিকারী হতে পারতেন না। ফিরহাদের কথায়, মেদিনীপুরের সবাই বলছেন কোনও রাজার প্রজা হয়ে থাকতে হবে না। অমরা সবাই রাজা এই রাজার রাজত্বে। দল ছাড়ার আগে সৌগত রায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকে কোনও সুরাহা হয়নি। এদিন শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সৌগত রায়। দমদমের সাংসদ বলেন, শুভেন্দু মমতাকে ছেড়ে চলে গেল। ও মীরজাফরদের দলে নাম লিখিয়েছে। মানুষ মীরজাফরদের মেনে নেয় না। মুখে সতীশ সামন্তের কথা বলছে, কিন্তু চলে গেল শ্যামাপ্রসাদের দলে। এটাই কী আদর্শ-নীতির রাজনীতি? কাঁথি কোনও পরিবারের সম্পত্তি নয় বলেও জানিয়ে দেন সৌগত রায়। তিনি শুভেন্দুকে কোনও বড় পালোয়ান বলতে নারাজ, তাঁর মতে, অখিল গিরিই বড় পালোয়ান। কাঁথির মানুষ মমতার পাশেই থাকবেন বলে মনে করে সৌগতবাবু। এই জনসভায় যে শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দেওয়া হবে তা রাজনৈতিক মহল অবগত ছিল। অখিলি গিরি জানিয়েছিলেন, শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী কনসেন্ট দেয়নি সভায় থাকার বিষয়ে। এদিকে তাঁরা জানিয়েছেন, এই সভার বিষয়ে তাঁদের জানানোই হয়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, যে সভায় ছেলেকে লাগামছাড়া শব্দে আক্রমণ করা হবে সেখানে কী থাকতে পারেন সাংসদ বাবা। তাছাড়া শিশির অধিকারীকে বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
কলকাতা

নাড্ডা কেন অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, প্রশ্ন কল্যাণের

কেন্দ্র অসাংবিধানিক কাজ করছে। জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে ১৪ ডিসেম্বর মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করা হয়েছে। সে বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, মুখ্যসচিব ও ডিজিকে এভাবে তলব করা যায় না। ভারতে এরকম কোনও আইন নেই। এই তলব পুরোপুরি অসাংবিধানিক। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। জেপি নাড্ডার কনভয়ের সামনে ৫০ টি মোটরবাইক ছিল। জেপি নাড্ডা অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জেড ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত কোনও ব্যক্তির কনভয়ে অত গাড়ি থাকতে পারে না। সাতজনকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাকেশ সিং তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। বিজেপি প্ররোচনা দিচ্ছে, এই অভিযোগও করেন কল্যাণ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন নাড্ডার কনভয়ে এত মোটর সাইকেল? কেন নাড্ডা অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ? আরও পড়ুন ঃ শারীরিক অবস্থার উন্নতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত আরেক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যে মন্ত্রিসভার রিপোর্ট কার্ড পেশের দিন ছিল। সেদিক থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এটা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সৌগত। এরপরই সৌগত পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান, বিজেপি যে বারবার রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার কথা তুলছে, তা অমূলক। কেননা, রাজনৈতিক মৃত্যুর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। পাশাপাশি তিনি দিল্লিতে অভিষেক ব্যানার্জীর বাড়ির দেওয়ালে কালি লেপে দেওয়ারও তীব্র সমালোচনা করেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দুকে নিয়ে সেমসাইড গোল হয়ে গেছে তৃণমূলেরঃ দিলীপ

সাইডলাইনের বাইরে ছিলেন। এখন সেমসাইড গোল হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। শুভেন্দুকে নিয়ে মাস্টারমশাই এমন ঝটকা খেয়েছেন যে চুপ মেরে গিয়েছেন। প্রাইভেট কোম্পানির চেয়েও খারাপ অবস্থা টিএমসির। শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে সৌগত রায়ের নাম না করে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার তিনি ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন। এদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কিছু বলার নেই। বৈঠকেরও এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, মানুষকে অত্যাচার করবেন না, শুধরে যান। মে মাসের পর সব হিসেব হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছে হাসপাতাল সেই কার্ড নেয় না। হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু সেখানে আগে টাকা পরে ডাক্তার। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, এখানে কোথাও চাকরি নেই সব যাচ্ছে বাংলার বাইরে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে তার বক্তব্য, দুয়ারে সরকার করছে। বিডিও নাকি বাড়িতে আসবে? কেউ বিশ্বাস করে এই কথা? কত রকম সাথী কত রকম শ্রী! টাকা আসছে কোথা থেকে? কেন্দ্র নাকি টাকা দেয় না! এরা বাড়ি এলে ছাড়বেন না নারকেল গাছে বেঁধে জবাব চাইবেন! তার কটাক্ষ, জঙ্গলমহলে তিনদিন বসেছিল দিদিমণি। কেউ খেতে ডাকেনি কেউ দেখা করতেও আসেনি। এবার বসার জন্য অন্তত একটা খাটিয়া পেয়েছে এরপরে চাটাই ও পাবেন না। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলে স্বাগতঃ মুকুল অভিষেককে কটাক্ষ করে তার মন্তব্য, ভাইপোকে কি ভাগ্নে বলব? আদর করে বলতাম এত রাগ করার কী আছে? তিনি তৃণমূল নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, প্রত্যেক নেতা রাত হলেই পার্টি, বোতল। সবকটা নেতার চেহারা দেখুন, টাকা কোথা থেকে এলো? হয় সিন্ডিকেটের টাকা না হলে পঞ্চায়েতের ঝাড়া টাকা। সবকটাকে কোমরে দড়ি পরিয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাব। সব নেতাদের নীল-সাদা বাড়ি গাড়ি। এই বাড়ি গাড়ি মে মাসের পরে ভোগ করতে দেব না। সব অকশন করব। কে কিনবেন ভেবে রাখুন। বুধবার থেকেই ইকো পার্কে তৃণমূল কর্মীরা সব বেচে দে টি-শার্ট পরে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। ঠিক দিলীপ ঘোষ যেখানে রোজ হাঁটতে যান, তার উল্টো দিকে দাঁড়িয়েই তৃণমূল এই কর্মসুচি পালন করছে। আজ দিলীপবাবু বলেন, এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়, শরীরচর্চা করার জায়গা। ওরা সব সিন্ডিকেট করে। মোদীজির ফিট ইন্ডিয়া আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে ওরা শরীরচর্চা করছেন। যদিও ইকো পার্কে রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে ঘোরা উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নিউটাউনের যে অঞ্চলে দিলীপ ঘোষ আজ চা-চক্র করেন, সেই এলাকায় সিন্ডিকেটের রমরমা বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে বারবার সিন্ডিকেট ইস্যু ঘুরে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে মিহির, নিশীথকে নিয়ে দিলীপ জানান, ওরা গতকাল রাতে এসেছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরে উনারা আমার সঙ্গে কথা বলেন। দলীয় কাজকর্ম শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, আপার প্রাইমারি আন্দোলনকারীদের নিয়ে তুলে দেওয়া নিয়ে তার বক্তব্য গোটা রাজ্যে ১৪৪ করা হচ্ছে। কাউকে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাদ্রাসার টিচারদেরও আন্দোলনের আগে তুলে নেওয়া হয়। মদন মিত্রের প্যাক আপ পোস্ট নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, সন্তুষ্ট করতে এসব কাজ করছেন। পার্টি ও সরকারে নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। আগে এই কারণে পুরষ্কার চালু করেছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজনীতি

একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়, সৌগতকে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। সৌগত রায়কে এসএমএস করে এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি আপনাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গতকাল বৈঠকে আমাকে অনৈতিকভাবে ডাকা হয়েছিল। এরকম চললে একসঙ্গে কাজ করাই মুশকিল। আমাকে ক্ষমা করবেন।জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, আগামী ৬ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি সকলকে জানাবেন। কিন্তু তার আগে যেভাবে দলের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে, তাতে অসন্তুষ্ট তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, বৈঠকের পর থেকে যেভাবে দলের সঙ্গে তাঁর সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, তা একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। সেকথা সৌগত রায়কে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, বৈঠকে যা হয়েছে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদের জানিয়েছিলাম। মন পরিবর্তন করলে তাঁর সিদ্ধান্ত, তিনিই সংবাদমাধ্যমে জানাবেন। আমি কিছু বলব না। শুভেন্দুর বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ সমস্যা মিটেছে বলে তৃণমূল দাবি করলেও এখনও চুপ শুভেন্দু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্তের কিশোরের সঙ্গে ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক। তাতেই নাকি সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে! বৈঠকে শেষে অন্তত তেমনই দাবি করেছিলেন সৌগত রায়। তিনি এও জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অন্য কোনও দলে যাচ্ছেন না, একসঙ্গে লড়াই করবেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী ফোনে শুভেন্দুকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। সৌগত রায়ের দাবি ছিল, দুএকদিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন শুভেন্দু। কিন্তু, তা আর হল না, বরং জল্পনাই সত্যি হল বলা যায়। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, বৈঠকে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরও থাকবেন, তা জানতেন না তিনি।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজনীতি

সমস্যা মিটেছে বলে তৃণমূল দাবি করলেও এখনও চুপ শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জল্পনা চলছিল রাজ্য রাজনীতিতে , তাতে আপাতত ইতি পড়ল। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে গোপন বৈঠকের শেষে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এখনও এই বৈঠকে্র বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে সৌগত রায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও শুভেন্দু বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌগত বাবুর দাবি, শুভেন্দু-অভিষেক-পিকে-কে নিয়ে মুখোমুখি বসার প্রয়োজন ছিল। আলোচনা সদর্থক হয়েছে। এ বৈঠকেই মিটে গেছে সমস্ত সমস্যা। দু-একদিনের মধ্যেই পুরো বিষয়টি জানাবেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, আমি তো বলেছিলাম শুভেন্দু দল ছেড়ে যাবেন না। সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল। বৈঠকের বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী বলেন, সমস্যা মিটে গেলে ভাল। পার্টির জন্য মঙ্গল। আরও পড়ুন ঃ পিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও নিজের অবস্থানে অনড় শীলভদ্র উল্লেখ্য, সদ্য মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও বিধায়ক পদ ও দল ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বিভিন্ন অরাজনৈ্তিক সমাবেশে কারও নাম না করে বিভিন্ন মন্তব্য করছিলেন। এর পালটা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিলেন। তৃণমূলের তরফ থেকে সৌগত রায়কে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দু তাঁকে জানিয়েছিলেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্স্বীর হাতে দলের দায়িত্ব ছিল, তখন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোর যেভাবে দল চালাচ্ছেন , তা তিনি মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। এদিন সেই অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে্র পর বরফ গলল বলে মত তৃণমূল নেতৃ্ত্বের।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল নেতৃ্ত্বকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

তৃণমূল এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়েদের মতো বুড়ো খোকাদের বার করেছেন সোনার বাক্স থেকে। ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ ফের শাসক দলের নেতৃত্বের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ওটা বুড়োদের পার্টি হয়ে গিয়েছে। মাঝখানে যত নেতা ছিল হয় পালিয়েছে, নয় চুপ করেছে, আর সবে মুখ খুলতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, যাঁরা দল (তৃণমূল) ছেড়ে পালাচ্ছেন তাঁরা ইঁদুর। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের খোঁচা, বাকিরা ইঁদুর হলে সৌগতবাবু কি মোষ? ওঁকে কেউ দলে নেবে না। তাই উনি তৃণমূলে পড়ে রয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতায় জিততে পারেননি বলে কাঁথি গেছেন। তৃণমূল অর্থবদের দলে পরিণত হয়েছে। যাঁরা নেতা ছিল তাঁরা হয় পালিয়ে গিয়েছেন, নয়তো চুপ করে গিয়েছেন। যাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁরাই ওই দলে পড়ে রয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ বাংলায় আমদানি করা গব্বর সিংদের মানুষ মেনে নেবে নাঃ ইন্দ্রনীল সেন আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি- সরকার এই ধরণের অনেক প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কিছু পায়নি। পার্টির লোকেরা কাটমানি পেয়েছেন। এগুলো সব স্ট্যান্ট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্টান্ট হচ্ছে। আর কিছু না। একবার রাস্তায় নেমে জিজ্ঞেস করুন কে স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা পেয়েছে, সব লোককে বোকা বানানোর রাস্তা। বাংলার লোক আর বোকা হতে রাজি নন। আগের যে সমস্ত কার্ড দিয়েছিল সেগুলো কোথায় গেল তার হিসাব দিতে হবে আর কেউ ভুলবে না। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। তিনি বলেন, বাইরে থেকে লোক এসে কোন নেতা কী পড়বেন, কী খাবেন, কখন ওষুধ খাবেন-সব ঠিক করে দিচ্ছেন। বাংলায় এমন রাজনীতি আগে ছিল না। এই রাজনীতি বাংলার মানুষ মানতে পারবেন না। তিনি জানান, গুণ্ডা মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে তার কোনও জবাব এখনও মেলেনি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিতঃ দিলীপ

তৃণমূল সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে পুরো ফেল। কিন্তু পার্টির যে ডিজাস্টার শুরু হয়েছে সেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দিদি এখন খুব ব্যস্ত আছে বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যে দল বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ, তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। দিলীপবাবুর কটাক্ষ, পার্টির এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মিটিং এখন নিয়মিত হবে। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে হবে। প্রতিদিনও হতে পারে। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তিনটি দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মিহির গোস্বামীর দলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরু হয়েছে। আমরা আগেই বলছিলাম অনেকে এমএলএ আছেন যাঁরা জয়েন করবেন। সবে শুরু হয়েছে। দেখুন আরও এমএলএ এমপি আসবেন বিজেপিতে। মাসখানেকের মধ্যে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। তিনি আরও বলেন, দশ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী কল্পতরু হলে, আজকে এ অবস্থা হত না। লোকে পার্টি ছেড়ে পালাতো না। যে পার্টি থেকে এমপি চলে যায়, এমএলএ চলে যায়, মন্ত্রী চলে যায়, সে পার্টির আছেটা কি! এক মাসের পরে দেখবেন পার্টি বলে কিছু থাকবে না। শুভেন্দুর দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাখা নিয়ে তিনি বলেন, সবই তো হাতে রেখেছেন। খালি পার্টিটা নিজের হাতে রাখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে আয় করতে বাধ্য হন এখানকার শ্রমিকরা। এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আগে এ রাজ্য থেকে আইএএস, আইপিএস তৈরি হত। তাঁরাই দেশজুড়ে কাজ করতেন। আর এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এখানে এখন স্রেফ পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি হয়। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, আমাদের ২১৮ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১ জন দল ছেড়েছে। কোনও সাংসদ দল ছাড়েননি। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি। আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করুন দিলীপ।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দুকে নিয়ে কী বললেন সৌগত?

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সোমবার ২৩ নভেম্বর ২০২০ দ্বিতীয়বার বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। তারপরেও নন্দীগ্রামের বিধায়ককে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে জল্পনা থামেনি। বৈঠকের পর আশাবাদী কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে সৌগতবাবু বলেছিলেন, নিরাশাবাদী নন। আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একবার কেন দশবার আলোচনায় বসতে পারি। আপনাদের মুখোমুখিও হতে পারি দশবার। কিন্তু বৈঠকে কী হয়েছে বা ফের কবে বৈঠক হবে কিনা সে ব্যাপারে কিছু বলব না। আর উনি তো দলেই আছেন। দলবিরোধী কিছু বলেননি। এ থেকে বুঝে নিন উনি দলবিরোধী কিছু বলতে চান না। গতকালও উনি পরিবহণ দফতরে গিয়েছিলেন। উঠে আসে সাধন পান্ডে-পরেশ পাল বাকযুদ্ধ ও অনুব্রত মণ্ডলকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির মানতে না চাওয়ার প্রসঙ্গ। সৌগতবাবু বলেন, দলের মধ্যে থেকে কেউ কাউকে নিয়ে কিছু বলুন সেটা কাম্য নয়। তবে রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে বিষয়টি নতুন নয়। দলে যাঁরা এগুলি সামলান তাঁরা নিশ্চিত দেখবেন। তবে এ সব অ্যাডজাস্ট করে নিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে তা দ্রুত হয়ে যায়, কিছু ক্ষেত্রে সময় লাগে। সৌগতবাবু বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমকে গতকাল বলি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলব। মনে হয় ভুল করেছিলাম জানিয়ে। কেন না তারপর যেভাবে সংবাদমাধ্যম আমার গাড়ির পিছু নিল তাতে এই বয়সে আমি অভ্যস্ত নই। তা সত্ত্বেও বলেছি, বৈঠক হয়েছে, উনি মেদিনীপুরে চলেও গিয়েছেন।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

শুধু শুভেন্দু নয় , সৌগত রায় সহ আরও ৫ তৃণমূল সাংসদ যোগ দেবেন বিজেপিতেঃ অর্জুন

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। এরমধ্যেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নয়, সৌগত রায়-সহ অন্তত ৫ জন তৃণমূল সাংসদ যে কোনও সময়ে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তুত। এটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শনিবার সকালে ছটপুজো উপলক্ষে নৌকায় করে গঙ্গা ভ্রমণের সময়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে স্বাগত। উনি যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন সেদিই সরকার ভেঙে যাবে। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব বাড়ছে। আরও পড়ুন ঃ অনেকেই মনে করছেন , রাজ্যে ৩৫৬ প্রয়োগ হোকঃ দিলীপ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, শুভেন্দু একজন জননেতা। সচেতন মানুষ। ওনাকে তৃণমূলে ক্রমাগত অপমান করা হচ্ছে। ওনার তৃণমূল ছেড়ে চলে আসা উচিত। বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানাতে সবসময় প্রস্তুত। যদিও অর্জুনের দাবি খণ্ডন করে সৌগত রায় জানিয়েছেন, রাজনীতি ছেড়ে দেব, মরে যাব, তবু বিজেপিতে যাব না। রাজ্যে এসে এসব শিখিয়ে দিয়ে গেছেন অমিত মালব্যরা।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

খুনের রাজনীতি বন্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ বাবুল

ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শুক্রবার বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন , হিংস্র সরকারকে থামানোর পথ কিন্তু সংবিধানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট দিতে যেতে দেবেন না, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করবেন, তা হলে সংবিধানে এসব থামানোর ব্যবস্থা আছে। আগামী ছমাসে নিজেকে শুধরে নিন মমতা। এভাবে হিংসার রাজনীতি কিন্তু চলবে না। আমরা এই নিয়ে বারবার রাস্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি। হিংসার রাজনীতি, খুনের রাজনীতি কিন্তু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনমতা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলার মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ক্ষমতায় আসেন তবে ধরে নিতে হবে তা পুলিশ, প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়েই হয়েছে। আমরা আশাবাদী কমপক্ষে ২০০ আসন পেয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসব। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্যবাসী সবকিছুই পাবে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি বিস্ফো্রণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছেঃ ফিরহাদ যদিও সাংসদ সৌগত রায় পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, বাবুল গানবাজনা নিয়ে থাকতেন। তাই তিনি রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। এসব কথা বলে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।

নভেম্বর ২০, ২০২০

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal